ঠিক কতদিন পরে বসেছি ঠিক মনে করতে পারছি না। কিন্তু যখন ব্লগটি শুরু করেছিলাম তখন মনে মনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে রোজ একটু একটু করে লিখবো। অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে শুরু করলেও তারপর নিজেই হাওয়া হয়ে গেলাম।
ব্লগ খুলে বেশ কিছুক্ষন তাকিয়ে ভাবলাম। মানুষ কত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে শুরু করে তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব উৎসাহ উদ্দীপনা কোনো এক ফাঁক গলে অজান্তে পালিয়ে যায়।কেউ বুঝতে পারে না। ব্লগ খুলে বসে ভাবছিলাম এসব কিছু। না কোনো মুভি রিভিউ না কোনো বই পড়া কিংবা ইন্ডিয়া থেকে দু দুবার ঘুরে আসার কোনো কিছুই কোনো স্ট্যাটাস না কোনো ফটো। এমনকি ফেসবুক থেকেও সাময়িক বিদায় নিয়েছি। প্রচুর সময় নষ্ট হয় তাই ফেসবুকে আর সময় দেই না।এই সময় নষ্ট করার ব্যাপারে এখন মনে হয় ভয়ানক বাড়াবাড়ি করছি। শরতের কাঁশফুল আর শিউলি ঝরে গেলো, শরৎ বিদায় নিলো চুপি চুপি।হেমন্তের সবুজ হলুদের কলাপাক ধানের মাঠে ধোঁয়াশে এক রেখা খেলা করতে করতে হটাৎই শীত এসে গেলো তবুও ক্যামেরা নিয়ে একদিন বের হলাম না।
সেদিন নয়ন এসে তার ক্যামেরায় তোলা বিশাল এক গোখরার ছবি আর পড়ন্ত বিকেলের সাদা কালো মেঘমালার ছবি আরো নানান বিষয়ের ছবি তুলে এনে আমায় দেখিয়ে গেলো। ও অনেকবার আমায় ডেকেছে বের হওয়ার জন্য কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বের হয়নি। কখনো প্রচন্ড রোদের অজুহাত কখনো সময়ের অজুহাত আরো নানান অজুহাত। সত্যিই মানুষের দুটি হাত ছোট হলেও অজুহাত অনেক বড়।এই অজুহাত ওই অজুহাত দিয়ে দিয়ে কতদিন পার করে দিলাম ভাবছি।
সময় নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে যখন সাংঘাতিক সিরিয়াস তখন সত্যিই আমি কি করছি ?এমন প্রশ্ন করেও ছেড়ে দিলাম নিজেকে তারপর উত্তর হিসেবে হয়তো আঙ্গুল তুলে ওই বইটির দিকে তুলবো যেটি সব সময় ব্যাগে নিয়য়ে ঘুরছি। নেপোলিয়ন হিলের "থিঙ্ক এন্ড গ্রো রিচ " .বইটির সমন্ধে পরে লেখা যাবে কিন্তু সত্যি সত্যি আজকে একটু লিখতেই হবে,এই পন নিয়ে বসে পড়েছি কতদিন পরে।
No comments:
Post a Comment