মূলত ২০০০ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে এই ধারণা নিয়ে জন্ম Y2K . আর এর সূত্রপাত হয়েছিল খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তৎকালীন সময়ে ৯৯ সালের পরের সাল ২০০০ উল্লেখ করা ছিল ০০ দিয়ে। আর তা নিয়ে সকলেরই মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। সবাই ভাবে যে ২০০০ সালে সকল কম্পিউটার আপনা আপনি অচল হয়ে যাবে, আর কম্পিউটারের এই বিগড়ে যাওয়াতে পৃথিবীর সকল কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ,পারমানবিক বোম্ব নিক্ষেপিত হবে। আর এই গুজবটি এতই প্রভাব বিস্তার করে যে এমন সাধারণ মানুষ সহ খোদ মার্কিন সরকার তারা খাদ্য মজুদকরন ,বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা,এটমিক বোমা হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা সহ কিভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায় তার সকল ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছিল। বিটিভি এবং সংবাদপত্রে নিয়মিত বুলেটিন প্রচার করছিলো। ২০০০ সাল এলো গেলো সব শ্রমই পন্ড শ্রম হয়ে গেলো। ২০০১ সালের ৫ই মে' র কথা কে না জানে।
পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে এমন উদ্ভট সংবাদে গোটা পৃথিবী জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। দেশ বিদেশের প্রখ্যাত জোতিষী বিভিন্ন মিডিয়া তারা তাদের টি আর পি এক ধাপে কয়েকগুন বেড়ে নেয় শুধু ৫ই মে পৃথিবী ধ্বংসের কথা বলে। তাদের ভাষ্য মতে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ২.০৮ মিনিটে পৃথিবী চাঁদের বিপরীতে এবং সূর্যের একপাশে ৫ টি গ্রহ একই সরল রেখায় এসে দাঁড়াবে। ৫ গ্রহের একই সরল রেখায় অবস্থান স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল। বিশ্বের বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী এবং এস্ট্রোনমি পত্রিকা তাদের মে মাসের সংখ্যায় উল্লেখ করে ৫ই মে ২০০১ সাল ২৯ মহরম শুক্রবার পৃথিবীর মহাপ্রলয়ের আভাস দিয়েছিলেন।আর এটার সাথে যোগ হয়েছিল পবিত্র কোরান মজিদে উল্লেখ করা মহাপ্রলয়ের কথা। কারন কোরান মজিদে উল্লেখ আছে কিয়ামত নাজিল হবে মহরম মাসে কোনো এক শুক্রবারে। আর তাতেই কেল্লাফতে। মানব সমাজে শুরু হয়ে যায় তোলপাড়। কেউ আত্মহত্যা করেছিল মহাপ্রলয়ের ভয়ে ,কেউ তাড়াতাড়ি বিয়ে সেরেছিলো আর কেউবা জমি জমা সহায় সম্বল বিক্রি করে মনের যত আয়েস সব পূরণ করেছিল।যারা গুজব ছড়িয়েছিলো তারাও শতভাগই সফল। এভাবে হরেক রকমের গুজব একটার পর একটা চলতেই থাকবে। তাই গুটিবাজিদের গুটির চাল যদি আপনি ধরতে না পারেন তাহলে ব্যার্থতা আপনাদের।
গুটিবাজদের থেকে সাবধান।
No comments:
Post a Comment